গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশকে ঘিরে বিভিন্ন অভিযোগে রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় হওয়া পৃথক চার মামলায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এসব মামলায় জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ১৪ জানুয়ারি সকালে সিএমএম আদালতে এসব মামলায় জামিন আবেদন করেন আমীর খসরুর আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহ। ওইদিনই ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট রেজাউল করিম চৌধুরী শুনানির জন্য ১৭ জানুয়ারি দিন ধার্য করেছিলেন। তবে বুধবার আমীর খসরুকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির না করায় জামিন শুনানি পিছিয়ে আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
তবে আজ চারটি মামলার মূল নথি মহানগর দায়রা জজ আদালতে থাকায় নথি প্রাপ্তি সাপেক্ষে সেসব মামলার শুনানির বিষয়ে সিদ্ধান্ত অপেক্ষমাণ রাখা হয়। বাকি চার মামলায় ১০ হাজার টাকা বন্ডে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
এর আগে গত ৮ জানুয়ারি বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি মো. আতাবুল্লাহর হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন গ্রহণ করে তা আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএমকে নির্দেশ দেন।
গত ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করা হলেও নাশকতার আট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখায়নি পুলিশ। এর মধ্যে সিএমএম কোর্টে জামিন আবেদন করা হলে আদালত আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করছেন না করে নথিভুক্ত রাখেন।
এটি চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছিল। হাইকোর্ট জামিন আবেদনগুলো গ্রহণ করে আইন অনুযায়ী নিষ্পত্তি করতে ঢাকার সিএমএম আদালতকে নির্দেশ দেন।
সরকার পতনের একদফা দাবিতে গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশ কেন্দ্র করে প্রধান বিচারপতির বাসভবনের ফটক ভেঙে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। সমাবেশের দিন হামলা-সংঘর্ষের পর রাজধানীর পল্টন ও রমনা থানায় মোট ১১টি মামলা করে পুলিশ। এর মধ্যে ১০ মামলায় আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আসামি করা হয়।
গত ২৮ অক্টোবর সমাবেশের দিন পুলিশ কনস্টেবল আমিনুল পারভেজ হত্যা মামলায় ২ নভেম্বর আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে পল্টন থানার এক নাশকতার মামলায় গত ১৪ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার দেখানো হলেও বাকি আট মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখাচ্ছে না পুলিশ।